আমরা শরীরের উপরি ভাগে বিশেষ করে চামড়ার বিভিন্ন অংশে ফোঁড়া হতে দেখি, যেমন- থাকে টনটনে ব্যাথা তেমনি থাকে কাঁপুনিসহ বুকে ফোঁড়া হলে কিংবা পুঁজ জমলে অনেকটা এই ধরণের লড়্গণের প্রকাশ পায়।
ফুসফুসে ফোড়া হলে লড়্গণগুলি নিম্নরূপ :
1. উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর (>103 ডিগ্রী ফারেনহাইট) হয়। জ্বর শীত করে কেঁপে কেঁপে আসে।
2. কাশি হয়ে থাকে, কাশির সাথে প্রচুর কফ বের হতে থাকে। কফ হয়ে থাকে ঘন, হলুদ এবং দূর্গন্ধযুক্ত। মাঝে মাঝে কফের সাথে রক্ত আসতে পারে।
3. রোগীকে দেখতে খুবই অসুস্থ ও দুর্বল মনে হয়।
বিভিন্ন কারণে বুকে ফোঁড়া হতে পারে যেমন :-
1. নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সময় মত করা না হলে।
2. মুখের জীবাণু যুক্ত লালা শ্বাসণালীতে চলে গেলে।
3. শ্বাসণালীতে বাইরের কোন বস্তু ঢুকে আটকে গেলে।
4. যারা তাদের শিরায় বিভিন্ন রকম নেশা জাতীয় দ্রব্য নেয়, তাদের ড়্গেত্রে বিভিন্ন জীবাণু, রক্ত দ্বারা বাহিত হয়ে ফুসফুসে যেয়ে ফোঁড়া তৈরি করতে পারে।
কাদের ফোাঁড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশী ?
1. যাদের মুখ গহ্বর, দাঁত ও দাঁতের মারি রোগাক্রানত্ম কিংবা অপরিষ্কার।
2. যাদের ডায়বেটিস অনিয়ন্ত্রিত।
3. যাদরে পূর্ব থেকেই ড়্গতিগ্রসত্ম ফুসফুস রয়েছে, প্রভৃতি।
ফোঁড়া হতে বাঁচার উপায়-
1. মুখ গহ্বর, দাঁত ও মাড়ির যত্ম নেয়া।
2. ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণ রাখা।
3. যথাযথভাবে এবং দ্রম্নত নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নেয়া, প্রভৃতি।
ফুসফুসে ফোঁড়া হলে দীর্ঘদিন নির্ধারিত এন্টিবায়োটিকটি যথাযথ মাত্রায় মাত্রায় সেবন করতে হয়। কিছু কিছু ড়্গেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয় যেমন- ফোঁড়া যদি আকারে বড় হয়, ফোঁড়া যদি ফেটে যায় অথবা ফোঁড়া থেকে যদি রক্ত ড়্গরণ হয়, প্রভৃতি।
বুকে পুঁজ জমা : বুকে পুঁজ জমা বলতে বুঝায়, ফুসফুসের চারিদিকে যে আবরণী রয়েছে সেই আবরণীর দুই সত্মরের মধ্যে পুঁজ জমা। সেই ড়্গেত্রে রোগীর মধ্যে নিম্নলিখিত লড়্গণগুলি থাকতে পারে যেমন-
1. রোগীকে খুবই অসুস্থ দেখায়।
2. রোগীর প্রচন্ড জ্বর (উচ্চ তাপমাত্রা) আসতে পারে, জ্বর যখন আসে শীত করে এবং কেঁপে কেঁপে আসে।
3. পুঁজ যে পাশে জমে, সে পাশটা ভার হয়ে থাকে এবং প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং ব্যাথার জন্য পরিপূর্ণভাবে শ্বাস পর্যনত্ম নেয়া যায় না। শ্বাস নিতে গেলে বুকের ব্যাথা বেড়ে যায়। অনেক সময় বুকের যে পাশে পুঁজ জমে, সে পাশে কেউ স্পর্শ করলেও রোগী ব্যাথা পায়।
বিভিন্ন কারণে বুকে পুঁজ জমতে পারে, যেমন-
1. নিউমোনিয়ার জটিলতা হিসেবে।
2. ফুসফুসের ফোঁড়া ফেটে গেলে।
3. অন্য কোন কারণে ফুসফুসের পর্দায় জমে থাকা পানিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) হলে, প্রভৃতি।
বুকে পুঁজ জমে থাকার প্রধান চিকিৎসায় হল একটি ছোট নল লাগিয়ে দিয়ে পুঁজ বের করে ফেলা এবং যথাযথ এন্টিবায়োটিক দেয়া।