নাক ডাকা কি কোন সমস্যা ? নাকি এটি সুখ নিদ্রার লক্ষন ? আপনি সচেতন হন, নাক ডাকা আসলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়ার লক্ষন। তবে সব নাক ডাকাই বিপদজনক নয় বা সব নাক ডাকার চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে না।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন তখনই যখন নাক ডাকার সাথে নিম্ন লিখিত লক্ষনগুলি উপস্থিত থাকে। যেমন- ঘুমেরমধ্যে নাক ডাকা অবস্থায় রোগীর শ্বাস যদি বন্ধ হয়ে আসে, ফলে বার বার তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঐ ব্যক্তির যদি দিনেরএকটি বড় অংশে ঝিমুনিভাব থাকে অথবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন- গাড়ি চালনা, মিটিং এ অংশ গ্রহণ, এই সব সময় রোগী যদি ঘুমিয়ে পড়ে, তবে অবশ্যই এই নাক ডাকার চিকিৎসা নিতে হবে। এই রোগটিকে বলা হয় নিদ্রাজনিত শ্বাসরোধক রোগ (obstructive sleep apnea)|
এই ধরনের লোকেরা সাধারণত দেখতে মোটা এবং ছোট ঘাড় বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এদের অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ এবংবহুমূত্র (diabetes mellitus) রোগে ভুগে থাকেন। কেন এই ধরণের নাক ডাকার চিকিৎসা প্রয়োজন ? চিকিৎসা না নিলে এইসকল রোগীর উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে
অনিয়ন্ত্রিত, হতে পারে স্ট্রোক, এমনকি ব্যাক্তিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।এর ফলে ফুসফুসের ধমনীতে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, রোগী অল্প পরিশ্রমেই শ্বাস কষ্টে ভোগেন। ব্যাক্তির কর্ম দক্ষতা হ্রাসপায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তিনি গাড়ি চালাতে যেয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হন। জেগে থাকা অবস্থায় আমাদের গলবিল(pharynx) কে বন্ধ বা চুপষে যাওয়া প্রতিরোধ করে কিছু মাংসপেশী। ঘুমন্ত অবস্থায় এই সমস্যা পেশীর কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এর ফলে নাক ডাকায় অভ্যস্ত কোন কোন ব্যাক্তির গলবিল এতটাই চুপষে যায় যে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে। আর এর ফলে দেখা দেয় নিদ্রাজনিত শ্বাসরোধক রোগ (obstructive sleep apnoea)|
এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে করাতে হবে ঘুম নিরীক্ষণ পরীক্ষা (sleep study)| এই পরীক্ষা জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি ইনিষ্টিটিউটসহ বড় বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন হয়ে থাকে, এমনকি বাড়িতে বসেও এটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
ক্ষতিকর নাক ডাকার চিকিৎসা নিন ভাল থাকুন।