ফুসফুসকে তুলনা করা হয় বেলুনের সাথে। শ্বাসের সাথে বাতাস ঢুকলে এটি বুক জুড়ে ফুলে উঠে আর প্রশ্বাসের সাথে কিছুটা বাতাস বেরিয়ে গেলে এটি আয়তনের খানিকটা কমে যায়।
1. শ্বাসণালী বন্ধ হয়ে ফুসফুস চুপসে যাওয়া : বেলুনের মত ফুসফুসেরও একটি মুখ রয়েছে যেখানে দিয়ে ফুসফুসের ভিতর বাতাস ঢুকে। ফুসফুসের এই মুখে যুক্ত থাকে বৃহৎ আকৃতির শ্বাসণালী। এই শ্বাসণালী দিয়ে বাইরের পরিবেশ বাতাস টেনে নিয়ে আমরা ফুসফুসকে ফুলিয়ে রাখি। শ্বাসণালী কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের ফুসফুস চুপসে যায়। শ্বাসণালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে নানা কারণে। যেমন- এর ভিতর টিউমার হলে, কফ জমে আটকে গেলে, বাইরের কোন বস্তু শ্বাসণালীর ভিতরে যেয়ে আটকে গেলে যেমন- ফলের বীচি, নকল দাঁত প্রভৃতি। আবার শ্বাসণালীর উপর বাইরে থেকে চাপ পড়লে বিশেষ করে কোন টিউমার দিয়ে শ্বাসণালী চেপে গেলে ফুসফুস চুপসে যেতে পারে।
2. ফুসফুসকে বাইরে থেকে চাপ দিয়ে চুপসে দেয়া : বড়্গ গহ্বরে পানি, বাতাস, রক্ত কিংবা পুঁজ জমা হলে তা ফুসফুসকে চারদিক থেকে চেপে ধরে এবং এদের পরিমাণ বেশী হলে বুকের মধ্যে চাপ আরো বেড়ে যায় ফলে ফুসফুস ক্রমাগত চুপসে যেতে থাকে।
3. ড়্গতিগ্রস্থ ফুসফুস কুঁচকে যাওয়ার কারণে ফুসফুসের চুপসে যাওয়া : ফুসফুসে যড়্গা, নিউমোনিয়া কিংবা ফোঁড়া হলে ছোট বড় ড়্গতের সৃষ্টি হয়। এই সব ড়্গত সেরে গেলে তা তন্তু জাতীয় টিস্যু দ্বারা ভরাট হয়, ফলে ফুসফুসের কোন কোন জায়গা কুঁচকিয়ে যায় ফলে এর আশেপাশের কিছু অংশ চুপসে যেতে পারে।
ফুসফুস চুপসে গেলে সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয়, অনেক ড়্গেত্রে বুকে ব্যাথা হতে পারে। এছাড়া যে সব রোগের কারণে ফুসফুস চুপসে যেয়ে থাকে, অধিকাংশ ড়্গেত্রে সে সব রোগের লড়্গণগুলি প্রকাশ পেয়ে থাকে।
ফুসফুস দীর্ঘ দিন চুপসে থাকলে সময়ের সাথে সাথে কার্যকারিতাও হারাতে থাকে। কিন্তু or:#1D2129'>সময়ের মধ্যে যদি ফুসফুসের বাইরের পানি, বাতাস কিংবা পানি চাপ অপসারণ করা যায় অথবা ফুসফুসের শ্বাসণালীর ভিতরের টিউমার অপসারণ করা যায় তাহলে ফুসফুস চুপসে যাওয়া অবস্থা থেকে অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।